দুই বছর পর রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

মোট রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

দুই বছর পর রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারো ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছুঁইছুঁই +++।

প্রধান অর্থনীতির দূরদৃষ্টিতা ড: ইউনুছের ।

 

 


প্রো–চার্টার, সংস্কার ভিত্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধির পথ:

তিনি ব্যাংকিং সংস্কার, রাজস্ব-বাড়ানো, সাশ্রয়ী বাজেট, সামাজিক কর্মসূচি, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো—সবকিছুকে সমন্বিত করতে চান। শুরু থেকেই মুদ্রাস্বল্পতা, রিজার্ভ, রেমিট্যান্স প্রভৃতি শনাক্ত বিষয়গুলোতে ইতিবাচক পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হয়েছে। তার লক্ষ্য একটি "মানুষকেন্দ্রিক, সুশাসনমুখী ও টেকসই অর্থনীতি" নিশ্চিত করা।

 

🔍 রক্ষণশীল ও গ্রস রিজার্ভের অবস্থা

গ্রস রিজার্ভ (বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব): ২৬ জুন, ২০২৫ তারিখে এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে $30.51 বিলিয়ন।

একই সাথে IMF‑এর BPM6 পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ‑এর হিসাব করা হলে তা দাঁড়ায় $25.51 বিলিয়ন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন, ২০২৫) সন্ধ্যার পর বৈদেশিক মুদ্রার মোট সঞ্চিত পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতির ভিত্তিতে প্রকৃত রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

🏦 ঋণ সহায়তার প্রভাব

  • IMF থেকে পাওয়া হয়েছে $1.34বিলিয়ন, যা দুই কিস্তিতে মুক্তি পেয়েছে।
  • ADB (Asian Development Bank) থেকে এসেছে $900মিলিয়ন।
  • JICA (Japan International Cooperation Agency) থেকেও ঋণ এসেছে, যদিও সুনির্দিষ্ট পরিমাণ না জানালেও এটি উল্লেখযোগ্যভাবে সংযোজিত হয়েছে।
  • এছাড়া, World Bank, AIIB, এবং OPEC Fund থেকেও আরও ~$1.5বিলিয়ন আশা করছে, যা জুন মাসের শেষের দিকে রিজার্ভে বাড়তি সংযোজন করবে।

💵 রেমিটেন্স ও বৈদেশিক মুদ্রা পরিস্থিতি

রেমিটেন্স প্রবাহে ধারাবাহিক বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রয়েছে। জুন মাসে শুরুতেই দুই বিলিয়ন ডলার ছাপিয়ে গেছে— গত মাসের তুলনায় বছরের শুরুতে অবস্থার চেহারা ভিন্ন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই দশ মাসের মধ্যে কোনো ডলার বিক্রি করেনি, ফলে মজুদে বাড়তি চাপ লেগেছে না।

 

📊 সামগ্রিক পরিবর্তন ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা

  • যুগল তুলনায় গত দুই বছরে রিজার্ভের সর্বোচ্চ: ২০২৩ সালের জুনে পর্যন্ত এই পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ এবং বর্তমানে পুরোনো সেই রেকর্ড ছাপিয়ে গেছে।
  • জুন মাসের শেষের দিকে ঋণ সহায়তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে $32 বিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
  • ভবিষ্যতে অর্থ বছরের (FY’26) শেষে রিজার্ভের লক্ষ্য $34.4বিলিয়ন নির্ধারণ করেছে সরকার।

উপসংহার: ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ $30.51বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। IMF‑এর BPM6 অনুযায়ী প্রকৃত রিজার্ভ $25.51বিলিয়ন এবং usable রিজার্ভ $19.80বিলিয়ন। 

এই বৃদ্ধির পেছনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে IMF, ADB ও JICA-র ঋণ সহায়তা, রেমিটেন্স প্রবাহ, এবং ডলার বিক্রি না করে রিজার্ভ সংরক্ষণ। আগামী মাসগুলোতে আরও ঋণ ও প্রবাহ বজায় থাকলে রিজার্ভ $32–34 বিলিয়ন পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।😊

আরো সংবাদ: 

নবীনতর পূর্বতন