"সাত স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার"
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি মিয়াপাড়ার রবিজুল ইসলাম সাতটি বউ নিয়ে সংসার করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। তিনি লিবিয়া ফেরত প্রবাসী।
রাষ্ট্রীয় আইন এবং ইসলামের দৃষ্টিতে একসঙ্গে সাত বউ নিয়ে সংসার করা নিষিদ্ধ। তিনি ৭ সংসার নিয়ে সুখে থাকাই এলাকাবাসী বিষয়টি স্বাভাবিক দেখছেন।
রবিজুলের দাবি, ‘বিধি সম্মত না হলেও’ তার স্ত্রীদের কারও কোনো অভিযোগ নেই। একসঙ্গে `শান্তিপূর্ণভাবেই’ তারা সংসার করছেন।
পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিজবি উদ জামান কানু বলেন, রবিজুল ছেলে হিসেবে ভালো ও সাদা মনের মানুষ। সাতটি স্ত্রী নিয়েও এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি রবিজুলের বিরুদ্ধে। স্ত্রীদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো।
মায়ের মানত রক্ষা করতেই তিনি সাতটি বিয়ে করেছেন, ৩৮ বছর বয়সি রবিজুল ইসলামের দাবি। সে মা-বাবার একমাত্র সন্তান।
মিরপুর উপজেলার পোড়াদাহ ইউনিয়নের ষষ্ঠ স্ত্রী রিতা আক্তার বলেন --
"আমার বিয়ের ১৮ দিন আগে একটা বিয়ে করেছেন আর ১৮ দিন পর আরেকটা (সপ্তম) বিয়ে করেছেন। এখন কী আর করা! জানতাম না যে তার আগে আরও পাঁচ বউ আছে"?
দরিদ্র বাবার আয়নাল হকের একমাত্র সন্তান রবিজুল হক।
রবিজুল জানান, পারিবারিকভাবে মিরপুর উপজেলার বালুচর গ্রামের কিশোরী রুবিনা খাতুনকে মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিয়ে করেন। বিয়ের দুবছরের মাথায় রুবিনা খাতুনের কোলে আসে এক পুত্র সন্তান। ছেলের বর্তমান বয়স ২৩ বছর, তিনি ইতালি প্রবাসী।
বর্তমানে প্রথম স্ত্রীর ঘরে রবিজুলের দুই ছেলে, দ্বিতীয় স্ত্রীর এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং তৃতীয় স্ত্রীর ঘরে জন্ম নিয়েছে এক কন্যা সন্তান।
রবিজুল ১৯৯৯ সালে পারিবারিকভাবে বানু খাতুনকে বিয়ে করেন। এরপর জীবিকার তাগিদে পাড়ি জমিয়েছিলেন লিবিয়ায়। সেখানে ২০১২ সালে পরিচয় হয় রুবিনার সঙ্গে। ২০১৫ সালে তারা বিয়ে (দ্বিতীয় বিয়ে) করেন।
প্রথম স্ত্রী রুবিনা খাতুন,
দ্বিতীয় স্ত্রী কিশোরগঞ্জের হেলেনা খাতুন,
তৃতীয় স্ত্রী চাপাইনবাবগঞ্জের নুরুন্নাহার,
চতুর্থ স্ত্রী স্বপ্নাখাতুন, বাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে।
চতুর্থ বিয়ে করেন গত বছর।
এরপর গত তিন মাসে পরপর তিনটি বিয়ে করেছেন রবিজুল।
পঞ্চম স্ত্রীর নাম বানু খাতুন, বাড়ি আলমডাঙ্গা উপজেলার ডম্বলপুর গ্রামে।
ষষ্ঠ স্ত্রী রিতা আক্তারের বাড়ি জেলার মিরপুর উপজেলার পোড়াদাহ ইউনিয়নে।
সপ্তম স্ত্রী মাসখানেক আগে বিয়ে করা মিতা খাতুনের বাড়ি সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে।
রবিজুল হক জানান, মায়ের মানত রক্ষায় ধারাবাহিকভাবে বিয়ে করেন।
আসবাবপত্র দিয়ে সাজিয়ে দি তলা পাকা ভবনের সাতটি কক্ষে স্ত্রীদের বসবাস করেন।
রবিজুল লিবিয়াতে টাইলস মিস্ত্রি ছিলেন ও দেশে মাইক্রোবাস চালক ছিলেন।
‘সাত স্ত্রীকে নিয়ে সুখের সংসার’-
অসহায় কিংবা দরিদ্র পরিবারের হওয়ায় সব স্ত্রীই থেকে গেছেন এক সংসারে ভাইরাল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের রবিজুল ইসলাম (৩৮)।
‘ভাইরাল’ রবিজুলের সাত স্ত্রীর সংসার আসলে কতটা সুখের?
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে, স্ত্রীদের প্রতি সমান হক প্রতিপালনের শর্তে অনুমতি নিয়ে সর্বোচ্চ চারটি বিয়ের বাইরে আরও স্ত্রী গ্রহণের বৈধতা নেই।