ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণ উৎসবে আনন্দ-উল্লাসে নতুন বছরকে স্বাগতম। স্বাগত ২০২৫।
জীবন থেকে নীরবেই চলে গেল ভালো-মন্দ মেশানো পুরনো স্মৃতিময় ২০২৪, বিদায় ২০২৪। প্রত্যেকের জীবন থেকে এবং পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেলে এক, দুই, তিন গুণে গুণে আরো একটি বছর। সম্ভাবনা ও নতুন লক্ষ্য ঠিক করে এক বুক আশা নিয়ে এগিয়ে যাব প্রত্যাশার নতুন বছরে।
২০২৫ সালের জন্য প্রত্যাশা:
১. শান্তি ও সমৃদ্ধি:
আমরা প্রত্যাশা করি নতুন বছরটি শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে আসবে। সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উন্নতি হোক।
২. স্বাস্থ্য ও সুস্থতা:
নতুন বছরে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হোক।
৩. উন্নয়ন ও সৃজনশীলতা:
নতুন বছরটি আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে উন্নতির পথ খুলে যাক ইসলামী জগরণে।
More Read
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনী, ও তাদের সম্পদের পরিমাণ?
বাংলাদেশে ইউনূস সরকারের ১০০ দিন
৪. বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার:
প্রিয়জনদের সঙ্গে ভালো সময় কাটানো এবং সম্পর্ক আরও গভীর হওয়া। একে অপরকে সহযোগিতা ও ভালোবাসা প্রদান করা।
৫. পৃথিবীকে রক্ষা করা:
পৃথিবীকে সুস্থ রাখতে পরিবেশ রক্ষায় আরো সচেতনতা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার ।
৬. নিরাপত্তা ও সামাজিক দায়িত্ব:
ধনী দারিদ্র্য শোষণ বা বৈষম্য দূরীকরণ , সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা বজায়, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার চেষ্টা করা হয়।
৭. রিবাকে (সুদ) নিষেধ:
সুদের লেনদেন মানুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করে এবং অর্থের অপব্যবহারকে উৎসাহিত করে, যা সমাজে অস্থিরতা এবং অসাম্য সৃষ্টি করে। সুদহীন লেনদেন ও ব্যবসা পরিচালনা করা।
৮. জাকাত (শুভদান):
দরিদ্র ও অসহায়দের জন্য জাকাত ভিত্তিক দানে উৎসাহিত করা। এটি দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সমাজে অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
৯. সৎ ব্যবসা ও লেনদেন:
সকল ব্যবসায় সৎ এবং নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা অপরিহার্য। মিথ্যা, প্রতারণা, এবং জালিয়াতি নিষিদ্ধ করণ। ব্যবসা লেনদেনের মধ্যে সঠিক মূল্য এবং ন্যায্যতা বজায় রাখাসহ রিবা(সুদ)বিহীন এবং নৈতিক ব্যবসা নিশ্চিত করণ।
১০. মুনাফা ও ক্ষতির অংশীদারি:
দুই বা ততোধিক পক্ষের একত্রিত পুঁজি ঝুঁকিতে লাভ-ক্ষতি ভাগাভাগির উপর গুরুত্বারোপ করা।
১১. অর্থনৈতিক ন্যায্যতা ও শোষণমুক্ত সমাজ:
ইসলাম অর্থনীতি ও শোষণ এবং অবিচারের বিরুদ্ধে। সব স্তরের মানুষ ন্যায্য সুযোগে প্রয়োজন মেটানো ইসলামী অর্থনীতির মূল লক্ষ।
১২. ধনীর সম্পদের সুষম বিতরণ:
ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে ব্যবধান কমানোর পদক্ষেপে জাকাত, সদকা, ওয়াকফ, এবং অন্যান্য দানের ব্যবস্থা, যা সমাজে সম্পদের সুষম বিতরণ নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
১৩. মানবিক এবং নৈতিক মূল্যবোধ:
অর্থনীতিতে মৌলিক উপাদান হলো মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যক্তিগত লাভ নয়, বরং সমাজের কল্যাণ ও মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা করাও উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।
সার্বিকভাবে, অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হওয়া চাই মানুষের কল্যাণ এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে ।
নতুন বছর আমাদের জীবনকে আরও রঙিন, সফল এবং সুখী করে তুলুক। ২০২৫ সাল হোক আমাদের জন্য আনন্দের, শান্তির এবং সফলতার বছর।