স্বাগত বাংলা নববর্ষ ১৪৩২
নতুনের আহ্বানে এলো ১৪৩২, শুভ নববর্ষ
উদ্ভাসিত হউক সকলের প্রত্যাশিত ভোরের আলো
কবির ভাষায়,
‘নতুন ঊষা নতুন আলো/নতুন বছর কাটুক ভালো/
কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ/শুভ হোক নববর্ষ’।
😊আজ পহেলা বৈশাখ😊, (১৪এপ্রিল,২০২৫খ্রি) বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষ ১৪৩১ বিদায়, নতুন বাংলা বছর ১৪৩২।
নতুন বছর, নতুন ভোর, নতুন আশা- সব নতুনের আহ্বানে এলো ১৪৩২; বাংলা শুভ নববর্ষ। জরাজীর্ণ-গ্লানিকে পিছনে ফেলে আবারো বৈশাখ এলো দ্বারে।
বৈশাখের প্রথম প্রহর বাঙালির হৃদয়কে করে তোলে প্রফুল্ল। মূলত রমনায় ছায়ানটের বর্ষবরণের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শোভাযাত্রাসহ মেলা, পান্তা-ইলিশের আয়োজন নববর্ষের মূল আকর্ষণ।
‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’ ১৪৩২ এর প্রতিপাদ্য। এ প্রতিপাদ্যের আলোকে শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে বাংলার চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও লোকজ সংস্কৃতির রূপ। নাম হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।
লোক-ঐতিহ্য ও ‘২৪ জুলাই এর চেতনামাখা বৈচিত্র্য; সর্বজনীন অংশগ্রহণ; বড় পরিসরে শোভাযাত্রার আয়োজন; ২৮টি জাতিগোষ্ঠী, বর্ণাঢ্য কর্মসূচি; বর্ষবরণ আনন্দ; শোভাযাত্রায় থাকবে সাতটি বড় মোটিফ, সাতটি মাঝারি মোটিফ ও সাতটি ছোট মোটিফ।
ঐতিহ্যের বৈশাখে নাগরদোলা, পুতুলনাচ, যাত্রা, লোকজ গানের আসরসহ নানান বিচিত্র বিনোদন। বাঙালি ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সম্প্রীতির এক অপূর্ব মিলনমেলার প্রতিচ্ছবি।
দেশের বিভিন্ন স্থানে দেশীয় ঐতিহ্যের বৈশাখীমেলা, চড়ুই ভাতি, বায়োস্কোপ, বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবার পান্তা-ইলিশ, ইলিশ পোলাও, ইলিশ খিচুড়ির পাশাপাশি রকমারি ভর্তা, পিঠা-পুলি, হাওয়াই মিঠাইসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় খাবারের আয়োজন প্রতিটি বাঙালীর।
গ্রামীণ বৈশাখী মেলায় মেলে স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লোকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত সামগ্রী, হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী, খেলনা এবং বিভিন্ন লোকজ খাদ্যদ্রব্যসহ বৈচিত্রময় সমারোহ।
বাংলা নববর্ষ পালনের সূচনা হয় মূলতঃ মুসলিম বাদশাহ আকবরের সময় থেকেই। মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে। পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে।
অন্ধকারকে ভেদ করে প্রত্যাশিত ভোরের আলোয় উদ্ভাসিত হউক প্রিয় স্বদেশ, মাতৃভূমি বাংলাদেশ। সুখ, শান্তি ও সফলতায় ভরে উঠুক বাঙলী জীবনের প্রতিটি অধ্যায়।
নতুন বছর দেশবাসীর জন্য শান্তি, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বার্তা বয়ে আনুক, এই প্রত্যাশায়। শুভ বাংলা নববর্ষ ১৪৩২।