রিজার্ভ চুরির ২০ মিলিয়ন ডলার রক্ষা: শ্রীলঙ্কার ব্যাংক কর্মকর্তাদের পুরস্কার

সাইবার জালিয়াতি ঠেকিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্মাননা পেল শ্রীলঙ্কার ব্যাংকের কর্মকর্তারা

বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৭ ও ১৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভে সাইবার জালিয়াতির একটি বড় ব্যবধানের (২০মিলিয়নডলার) ফাঁদ থামানোর জন্য শ্রীলঙ্কার প্যান এশিয়া ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (PABC) কর্মকর্তাদের বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে।

 


 

কি ঘটেছিল? ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিয়ে নিউয়র্ক ফেড রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে $৮১০মিলিয়নের অনৈতিক ট্রান্সফার চেষ্টা করেছিল হ্যাকাররা, যার মধ্যে একটি $২০মিলিয়ন ট্রান্সফার ছিল শ্রীলঙ্কার উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট PABC-তে ।

PABC-এর কর্মকর্তারা “অসম্ভব সতর্কতা, পেশাদারিত্ব ও সততা” দেখিয়ে এ ব্যবহারগত অনিয়ম ফাঁদ ঠেকাতে সক্ষম হন।

আরো সংবাদ:  

সম্মাননা অনুষ্ঠানঃ ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরে গত ১৭ জুলাই ২০২৫ বৃহস্পতিবার আয়োজিত ইউনিক অনুষ্ঠানে

প্রদত্ত সম্মাননায় উপস্থিত ছিলেন:

       গভর্নর ড. আহসান এইচমনসুর

       পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বাহারুল আলম

       শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধরমপাল বীরক্কোডি

       PABC-এর শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ

       বাংলাদেশ ব্যাংকের চারজন ডেপুটি গভর্নর ও ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান।


 

গুরুত্ব ও অন্তর্নিহিত বার্তা হল বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে যে এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের আর্থিক স্বার্থ রক্ষা করতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রযুক্তিনির্ভর তদারকি ও আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতার প্রতীক হিসেবেও তা দেখছে।

অনুষ্ঠানটিতে বাংলাদেশ–শ্রীলঙ্কার দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব, “সাইবার নিরাপত্তা”, “আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণ” ও “দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা” আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।

ঘটনা ২০১৬ সালে সাইবার জালিয়াতি চেষ্টা (২০মিলিয়ন ডলার.$)

প্রতিকার করেন শ্রীলঙ্কান প্যান এশিয়া ব্যাংকের কর্মকর্তারা ট্রানজাকশন আটকান।

এই সম্মাননা অনুষ্ঠান কেবল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ব্যাংকিং অংশীদারিত্বকে দৃঢ় করে না, পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক জগতের সতর্কতা, নিরাপত্তা ও সম্মানদানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

মোট অর্থ:

ফিলিপাইনের ক্যাসিনো ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে পাচারকারী হ্যাকাররা নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১ বিলিয়ন ডলার (১,০০০ মিলিয়ন) চুরির চেষ্টা করে।

এর মধ্যে তারা সফলভাবে পাচার করতে পারে মোট ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৮ কোটি ১০ লাখ ডলার)।

শ্রীলঙ্কার Pan Asia Banking Corporation (PABC) কর্মকর্তাদের সতর্কতায় ২০ মিলিয়ন ডলার আটকে যায় এবং ফেরত দেওয়া হয়।

 ফাইনাল ক্ষতি: বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, প্রায় ৬৬ মিলিয়ন ডলার এখনও পুনরুদ্ধার হয়নি এবং সেটিই মূল ক্ষতির অঙ্ক।

নবীনতর পূর্বতন