সন্তানের বন্ধুদের জানুন
সন্তানের বেড়ে উঠার নির্ভরতা তার পরিবেশের ওপর। পরিবার, পরিজনের বাইরে আরেক নির্ভরতার জায়গা হলো ‘বন্ধুমহল’। অবিরাম ভালোবাসা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে প্রকৃত বন্ধুত্বের জন্ম।
বর্তমানে বাবা -মায়ের উদ্বেগের বিষয় হলো আমার সন্তানকে কাদের সাথে ওঠাবসা করছে?
সন্তানের বন্ধুদের কেন চেনা জরুরি?
সন্তান কার বা কাদের সঙ্গে মিশছে তা অভিবাবককেই জানতে হবে। সন্তানের ভালো বন্ধু কারা এবং খারাপ বন্ধু কারা। সন্তানের মানুষ হয়ে বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে ভালো বন্ধুর সংঘ ইতিবাচক সহায়তা যেমন; ঠিক বিপরিত তার খারাপ বন্ধু। সংঘ যেমন আলো তেমনি ঘোর অন্ধকার ও।
আমাদের সন্তানের বন্ধুত্বের দিকে বাচায় করার ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু সচেতন? জানার হবে সন্তান কার বা কাদের সঙ্গে মিশছে? আপনার-আমার সন্তান জঙ্গি হচ্ছে না তো? মাদকাষক্ত নাতো? চরিত্রহীন নাতো? ত্রাস সৃষ্টিকারী নাতো? এর পরেও অনেক প্রশ্ন থেকেই যায়!
সন্তান ছোট থাকাকালীন সময় থেকে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। সন্তান বেড়ে ওঠার সাথে বুঝতে সুবিধা হবে।
সন্তানের বন্ধুদের চেনার পাশাপাশি তাদের বন্ধুদের ব্যাপারে কতটুকু হস্তক্ষেপ করবেন অথবা সন্তানকে বন্ধুত্বের ব্যাপারে কিভাবে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলবেন সেই কৌশল জানাও দরকার।
সন্তানকে সঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিয়ে সন্তানকে সঠিক পথটি বেছে নিতে দিন। শুধু মা-বাবা কিংবা অভিভাবক হিসেবেই নয় একজন ভালো বন্ধুর মত সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করুন।
কর্মব্যস্ততা যা ই থাকুক সন্তানের সাথে দূরত্ব কমিয়ে সন্তানের সাথে সময় কাটানোসহ ছায়া হয়ে থাকুন। ফোনে যোগাযোগ রাখুন। সন্তানের দিনলিপির স্বচ্ছ একটি ধারণা রাখুন । সন্তানকে অকারণে সন্দেহ থেকে বিরত থাকুন। তাদের কিছুটা ব্যক্তি স্বাধীনতা দিন এবং বিশ্বাস অবিশ্বাসের বেড়া জালে অকারণেই তাদের মানষিক চাপ মুক্ত রাখুন। আন্তরিকতা বাড়ানের উপায় বের করুন।