আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার2023 কামিন্স ও সিভার-ব্রান্ট

আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার কামিন্স ও সিভার-ব্রান্ট

প্রথমবারের মতো আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। নেতৃত্ব ছাড়াও ব্যাট-বল হাতেও ছিলেন দারুণ ছন্দে। আর তাতেই পেয়েছেন আইসিসির বর্ষসেরা দারুণ এই অর্জন। তার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছাড়াও আলোচনায় অনুপ্রেরণার নেতৃত্ব। জিতলেন মর্যাদার স্যার গ্যারফিল্ড সোবার্স ট্রফি।


 

২০২৩ সালের বর্ষসেরা অধিনায়ক কামিন্সের বড় সাফল্য মেলে অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল তার বুদ্ধিদীপ্ত তীক্ষ্ণ নেতৃত্বের।

কামিন্স সফলতার আরেক অধ্যায় হল বছর শেষ করেন পাকিস্তানের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সুদীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে এক টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি।

২০২৩ সালের বর্ষসেরা পুরুষ নারী ক্রিকেটারের নাম বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি।

সেরার লড়াইয়ে কামিন্স হারিয়েছেন তার সতীর্থ ট্রাভিস হেড, ভারতের ব্যাটিং গ্রেট ভিরাট কোহলি স্পিনিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে।

সতীর্থ রিকি পন্টিং, মিচেল জনসন, মাইকেল ক্লার্ক, স্টিভেন স্মিথের পর পঞ্চম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে প্রথম বারের মতো আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন কামিন্স।

অস্ট্রেলিয়ার তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব তার কাঁধে ওঠার পর থেকেই দারুণ পারফরম করেছেন কামিন্স।

এমন অর্জনের পর অজি অধিনায়ক এক সাক্ষাতকরে বলেন, ‘‘এটি বিশাল এক সম্মান। দুর্দান্তসব দলীয় পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে বড় একটি বছর কেটেছে।

ব্যক্তিগত সম্মান পাওয়াটা আমার কাছে বিশাল অর্থ বহন করে এবং আমি খুবই আপ্লুত। ব্যক্তিগত পুরস্কারের ক্ষেত্রে এটি উপরেই থাকবে।‘‘

গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৪ ম্যাচে ৫৯ উইকেট নেন কামিন্স। যেখানে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ শিকার ধরেন ১১ ম্যাচে; ইনিংসে উইকেট তিনবার ম্যাচে ১০ উইকেট একবার।

ওয়ানডেতে ১৩ ম্যাচে নেন ১৭ উইকেট। ২০২৩ সালে কোনো টি-টোয়েন্টি তিনি খেলেননি। দুই সংস্করণ মিলিয়ে ব্যাট হাতে করেন ৪২২ রান।

এছাড়া বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কাররচেল ফ্লিন্টট্রফি জিতেছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ন্যাট সিভার-ব্রান্ট। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।

লড়াইয়ে তিনি হারিয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার বেথ মুনিকে। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জিতলেন ৩১ বছর বয়সী সিভার-ব্রান্ট।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত বছর ১৮ ম্যাচ খেলে ৮৯৪ রান করেন সিভার-ব্রান্ট। পেস বোলিংয়ে নেন উইকেট। মাত্র ম্যাচ খেলে ৩৯৩ রান করেন তিনি ১৩১ গড়ে। যেখানে তিন ম্যাচেই করেন সেঞ্চুরি। বছরে দুই টেস্টে দুটি ফিফটিও করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।

উইমেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৬ রান ছিল তার। বোলিংয়ে নেন কেবল উইকেট।

নবীনতর পূর্বতন