‘উন্নত জাত ও উচ্চ বংশীয় মর্যাদাসম্পন্ন’ ছাগল
‘সাদিক এগ্রো’র ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো ঈদুল আজহা ’২৪ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের ছাগল ক্রেতা এক তরুণ।
বেশী দামে ছাগল ক্রয়ের ওই তরুণের বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের চাল তেলের খবরও। তার সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। সেই সাথে ছাগলের রশির প্যাঁচের মতোই প্যাঁচে পড়েছে ‘সাদিক এগ্রো’ নামের সেই খামারের ও।
ছেলের ছাগলকাণ্ডের পর তিনি হারান এনবিআরের পদ, সরে যেতে হয় সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদ থেকেও।
গরুর চোরাচালানকারী বলে খ্যাত সাদিক এগ্রোর মালিক শাহ ইমরান হোসেন। তার সিন্ডিকেট ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে নানা জাতের গরু নিয়ে আসেন দেশে। এরপর সেগুলো চড়া দামে বিক্রি করেন।
তিনি মোহাম্মদপুরের বছিলায় খালের জমি দখল করে খামার নির্মাণ করায় সাদিক অ্যাগ্রোতে স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ২০২৪।
ঈদের বাজারে ছাগলের ‘এলাহী কাণ্ডের’, আলোচিত সেই ছাগলটি ৬২ ইঞ্চি উচ্চতা ও ওজন ছিল প্রায় ১৭৫ কেজি।
সাদেক এগ্রোর ব্যাখ্যা — ‘উন্নত জাত ও উচ্চ বংশীয় মর্যাদাসম্পন্ন’ ছাগলটি দাম হাঁকে ১৫ লাখ টাকা।
সাদিক এগ্রোতে থাকা গরু-ছাগলের আকাশছোঁয়া দামের ব্যাপারে ব্যাখ্যায় সাদিক এগ্রো'র ম্যানেজার বলেন - উচ্চবংশীয় মর্যাদাসম্পন্ন গরু-ছাগল। খাওয়া-দাওয়াও স্পেশাল।’ বেশি যত্নে লালন-পালন। পুষ্টিকর খাবার’খাওয়ানো।
‘খান্দানি ছাগল’ ‘বংশীয় গরু’, ‘বংশীয় ছাগল’, ‘এই গরুর বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে’।
বহুল আলোচিত এই ছাগলের খোঁজ নিতে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি খামার মালিককে। মোহাম্মদপুরে খামারে গিয়েও তার খোঁজ মেলেনি। আত্ম সম্মানে গা ডাকা দেন তিনি।
সাদিক এগ্রো গত এপ্রিল মাসে ঢাকার আগারগাঁওয়ে প্রাণিসম্পদ মেলায় ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের একটি গরু ওঠান। শতভাগ ব্রাহামা জাতের।, তাদের এই গরুর দাম হাঁকা হয় কোটি টাকা। বলা হয়, ‘উচ্চ বংশীয় মর্যাদাসম্পন্ন’।
ঈদে ১ হাজার ৪০০ কেজি ওজনের গ্রে ব্রাহমা জাতের ওই গরুর দাম হাঁকা হয় দেড় কোটি টাকা।
ব্রাহমা জাতের গরু আমদানি নিষিদ্ধ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।