অবিশ্বাস্য জয়ে ভারতের বিশ্বজয়
বিশ্বজয় করে ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধার করে ট্রফি ঘরে তোলেন রোহিত শর্মার দল। ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো দলটির। সবশেষ ২০০৭-এ দক্ষিণ আফ্রিকারই মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম শিরোপার মুখ দেখেছিল ভারত।
'কিং কোহলি' টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধার করতে মার্কিন মুল্লুকে পা রাখেন । ফাইনাল ম্যাচের আগ পর্যন্ত নিষ্প্রাণ ছিলেন এবারের রাজা বিরাট কোহলি। সাত ম্যাচে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে ১০.৭১ গড়ে আসে ৭৫ রান। ভক্ত-সমর্থকরা হতাশা ।
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিশ্বাস ছিল তিনি ঠিকই জ্বলে উঠবেন, ফিরলেনও সতীর্থ বিরাট কোহলি, দলের বিপদে হাসল তার ব্যাটও। ভারত পেল ১৩ বছর পর কোনো বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের স্বাদ।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চ কাপিয়ে নিজের শেষ বিশ্বকাপে তৈরি করে গেলেন নতুন এক ইতিহাস। ২০১১ সালে শচীন টেন্ডুলকারের পর এবার রোহিত শর্মার সঙ্গে উঁচিয়ে ধরলেন স্বপ্নের ট্রফি।
২০১১ সালে তার হাতেই উঠল ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী বিরাটকে নিয়ে বলেন, 'সে (বিরাট) একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়।
তিনি ৫৯ বলে ৭৬ রানের এক কার্যকরী ইনিংস খেলেন। ফাইনালে এসে দেখা পেলেন এবারের আসরে প্রথম অর্ধশতকের দেখা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও কোহলি। ৩৫ ম্যাচে ৩৩ ইনিংসে ব্যাট করে ১ হাজার ২৯২ রান।
দুই নম্বরে আছেন তারই সতীর্থ রোহিত শর্মা। ৪৭ ম্যাচে ৪৪ ইনিংসে ব্যাট করতে ১ হাজার ২২০ রান আসে বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়কের।
বুমরা, পান্ডিয়া আর আর্শদ্বীপের অসাধারণ বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত জয় পায় ৭ রানে ভারত। রচিত হয় ইতিহাস। পেলেন অমরত্বের স্বাদ।
বিশ্বকাপ জয়, ফাইনালের নায়ক, জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আর পুরস্কার হাতে পেয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ছাড়ার ঘোষণা। টি-টোয়েন্টি থেকে কোহলির বিদায়টা যেন হলো এক রাজার বিদায়।
তিনি জানালেন, ‘‘এটা আমার শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এটাই আমার শেষ। ভারতের হয়ে আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।’’
১২৫ টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে কোহলির রান ১ সেঞ্চুরি ৩৮ ফিফটিসহ ৪১৮৮। তার ব্যাটিং গড় ৪৮.৬৯ আর স্ট্রাইক রেট ১৩৭.০৪। নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫০ ম্যাচ। এটা রোহিতের নবম বিশ্বকাপ, কোহলির ষষ্ঠ।
আসলে শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, বিরাট কোহলিরা শুধু ব্যাটসম্যান নন একেক জন এক প্রতিষ্ঠান।