শরীফ ওসমান হাদি একটি বীরত্ত্বের নাম
শরীফ ওসমান হাদি (Sharif Osman Hadi) বাংলাদেশের ২য় স্বাধীনতা খ্যাত জুলাই ২০২৪ যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
শরীফ ওসমান হাদি (বা ওসমান হাদি) বর্তমানে একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী, বক্তা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, যিনি জুলাই’২৪ গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে জুলাই শহিদদের অধিকার ও ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী রাজনীতির জন্য আলোচিত বজ্র কন্ঠের একজন সম্মূখ সারির সাহসী যোদ্ধা ও সংগঠক। কিছু সমর্থকের মতে, তিনি এখন আর শুধু একজন ব্যক্তি নন, বরং একটি প্রতীক বা বীরত্বের নাম।
শরীফ ওসমান হাদির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
ভূমিকা: রাজনৈতিক কর্মী, বক্তা, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র।
পরিচিতি: জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শহিদদের অধিকার রক্ষা ও আওয়ামী লীগ নিষেধাজ্ঞা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকার জন্য আলোচনায় আসেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সমর্থকদের ধারণা: কিছু সমর্থক তাঁকে 'বীরত্ব' বা 'ইনসাফ'-এর প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে।
আজ (১৫ ডিসেম্বর,২০২৫) সোমবার দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা করা হয়। এর আগে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করা হয়।
চিকিৎসকদের ভাষ্য অনুযায়ী, হাদির শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি, আবার বড় কোনো অবনতিও ঘটেনি। তবে ফুসফুস সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় এবং উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে মেডিকেল বোর্ড সম্মিলিতভাবে তাকে বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
💘💘💘আরো পড়ুন:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ নিউরোসার্জারি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আব্দুল আহাদ জানান, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা দলের কাছে হাদিকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে রাজধানীর বিজয়নগর কালভার্ট এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারাত্মক আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। গুলি তার মাথার ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।
শরীফ ওসমান হাদি একটি বীরত্বের নাম। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মী নন, বরং সাহস, আদর্শ ও সংগ্রামের প্রতীক। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া এবং জনগণের অধিকার রক্ষায় তাঁর নির্ভীক ভূমিকা তাঁকে আলাদা করে চিহ্নিত করেছে।
জীবনসংকটের মুখেও তিনি মাথা নত করেননি; বরং তাঁর দৃঢ়তা ও আত্মত্যাগ মানুষের মনে অনুপ্রেরণা জাগিয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়েও তাঁর মনোবল ভাঙেনি—এটাই সত্যিকারের বীরত্ব।
দেশ, সমাজ ও মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার যে সাহস তিনি দেখিয়েছেন, তা প্রমাণ করে—শরীফ ওসমান হাদি কেবল একটি নাম নয়, একটি আদর্শ, একটি বীরত্বের প্রতিচ্ছবি।
শরীফ ওসমান হাদি একজন ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, রাজনৈতিক স্বাধীনতা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় বিদেশি প্রভাবের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেন তিনি।
রাজনৈতিক আধিপত্য, অসম চুক্তি ও একতরফা প্রভাবের বিরোধিতা করেন। এই অবস্থানই তাঁকে জাতীয় স্বার্থকেন্দ্রিক রাজনীতির একজন দৃঢ় ও সাহসী প্রতিনিধি হিসেবে তুলে ধরেছে।
