উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার লবণ উৎপাদনে ৬৩ বছরের রেকর্ড
লবণচাষিদের মুখে হাসি
রেকর্ড উৎপাদন তথা আহরণ।
অনুকূল আবহাওয়ায় কক্সবাজার ৭ উপজেলার সাগর ও নাফ নদীর উপকূলীয় এলাকায় প্রাকৃতিক উপায়ে আহরিত লবণের বাম্পার ফলন হয়েছে। লবণের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন বলে লবণ চাষীরা উৎসাহিত ও চলতি মৌসুমে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
এতে প্রচণ্ড খরা ও তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার লবণ উৎপাদনকারী চাষীরা কোমর বেধে মাঠে রয়েছে এবং লবণ উৎপাদনে ৬৩ বছরের রেকর্ড ছেড়ে গেছে। প্রাকৃতিক প্রতিকূল মনোরম পরিবেশের কারণে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত লবণ উৎপাদন হয়েছে।
বিসিক তথ্য অনুযায়ী, লবণ মৌসুম শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক বাকি। এই বছর উপকূলের ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে এ পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। সম্ভাব্য আরো উৎপাদিত হবে অন্তত ৪ থেকে ৫ লাখ মেট্রিক টন প্রাকৃতিক লবণ।
২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।
দেশীয় এ লবণ শিল্প ১৯৬০ সাল থেকে কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, ঈঁদগাও, চকরিয়া ও বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ উৎপাদন করে আসছে ।
চলতি মৌসুমে গত মৌসুমের তুলনায় এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ বেশি উৎপাদন হয়েছে।
কক্সবাজার জেলার এ লবণ শিল্পের সাথে জেলায় লবণ মাঠে উৎপাদন কাজে জড়িত নিবন্ধিত চাষী ও দেড় লাখ শ্রমজীবিসহ প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বিভিন্নভাবে এ শিল্পের সাথে নিয়জিত রয়েছে।